বেরসিক বৃষ্টি!
রসিকতা করে কেউ কেউ বলতে পারেন, আয়ারল্যান্ড দল তো মন খারাপ করবে। মাঠে ৫০ ওভার খেটে মরার পর ব্যাটিং না পেলে তো এমনই লাগার কথা!
বেরসিক বৃষ্টি আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শুরু হতে দেয়নি। তার আগে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোর (৩৪৯) দেখেছেন সবাই। লিটনের ৭০, নাজমুল হোসেনের ৭৩ আর মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১০০ চোখে মায়াঞ্জন মেখেছে। আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেলে একটু ভেজা ভেজা কন্ডিশনে ইবাদত–হাসান মাহমুদদের সামর্থ্যটা হয়তো টের পাওয়া যেত। বোলাররা সে সুযোগ না পাওয়ায় লিটন দাসের একটু কি মন খারাপ?
না, সংবাদ সম্মেলনে আসা লিটনকে দেখে তা বোঝা গেল না। বৃষ্টির ওপর তো কারও হাত নেই। লিটন সে কথাই বললেন, ‘ম্যাচ হলে অবশ্যই ভালো লাগত। কিন্তু এটিতে (বৃষ্টি) তো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের ইনিংসের প্রসঙ্গ আগেভাগেই উঠল। ২ ছক্কা ও ১৪ চারে ৬০ বলে তাঁর অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি। মুশফিকের এমন বিধ্বংসী রূপ আগে কখনো দেখা গেছে?
লিটন আরেকটু গভীরে তাকানোর চেষ্টা করলেন। দলের ইনিংসে শেষ দিকে এমন সেঞ্চুরিকেই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশের ওপেনার, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি যত দিন খেলছি, বাংলাদেশের কেউই শেষের দিকে এমন ১০০ করেনি। দলের কাউকে করতে দেখলে খুবই ভালো লাগে। সিনিয়ররা করলে আরও ভালো লাগে।’
মুশফিকের প্রশংসা থামাননি লিটন। প্রথম ম্যাচের উদাহরণও টানলেন, ‘শুধু আজকের ইনিংস নয়, শেষ ম্যাচের ইনিংসটি দেখেন। অসাধারণ খেলেছেন। রানটা হয়তো বেশি না, ৪০ বা এর বেশি ছিল একটু। ওটা কিন্তু বড় পার্থক্য গড়ে দেয় ৩০০-এর ওপর করতে। আজকের ইনিংসটা তো একেবারেই আলাদা।’
এই সিলেটেই মুশফিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়তে তা বড় অবদান রেখেছিলেন। আজ সেই মুশফিকের ইনিংসেই প্রথম ম্যাচের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।


Post a Comment